সিবিএন ডেস্ক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজ ঢাবির অধীনেই থাকবে এবং এদের জন্য ঢাবির মধ্যেই একটি পৃথক প্রশাসনিক ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

শুক্রবার (১ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ৩১ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠককে উদ্ধৃত করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সাত কলেজ দেখভালের জন্য ঢাবির মধ্যেই আলাদা একটি প্রশাসনিক ব্যবস্থা থাকবে, যেখানে পৃথক রেজিস্ট্রারসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকবেন। তবে সাত কলেজ ঢাবির অধিভুক্তই থাকবে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায়, এই প্রস্তাবের বিষয়ে ঢাবি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের কোনো আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি। এ বিষয়ে জানার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টা এবং সরকারের উচ্চপর্যায়ের সঙ্গে দ্রুত আলাপ করেছে। জনগুরুত্ব বিবেচনা করে সরকারও আন্তরিকভাবে সাড়া দিয়েছে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে, সম্ভাব্য তারিখ অনুযায়ী, আগামী রোববার এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে একটি জরুরি বৈঠকের আয়োজনের বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছে।

সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে আসছিলেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবি করে আসছিলেন। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনদের নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে এবং এর মাধ্যমে একটি টেকসই ও শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব।

এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টা এবং সাত কলেজের প্রতিনিধিরা আলোচনায় মিলিত হন। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, সাত কলেজের প্রশাসনিক কাজ পরিচালনার জন্য ঢাবির একটি নির্দিষ্ট স্থানে আলাদা ফেসিলিটি থাকবে, যেখানে তাদের জন্য আলাদা রেজিস্ট্রার, অফিসিয়াল এবং ডেডিকেটেড সার্ভিস প্রদান নিশ্চিত করা হবে।